• E-paper
  • English Version
  • বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৪ অপরাহ্ন

×

দুই জেলায় বজ্রপাতে নিহত ৪ : আহত ৮

  • প্রকাশিত সময় : রবিবার, ১২ মে, ২০২৪
  • ২৫ পড়েছেন

দেশ ডেস্ক :
বাগেরহাটের শরণখোলায় বজ্রপাতে দুই শ্রমিক নিহত এবং সাত জন আহত হয়েছেন। আহতদের শরণখোলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়নের তাফালবাড়ী বান্দাঘাটা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। আহতরা সবাই বালু তোলা শ্রমিক ছিলেন। নিহত দুই শ্রমিক হলেন পিরোজপুর জেলার ইন্দুকানি উপজেলার বালিপাড়া গ্রামের মৃত আইউব আলীর ছেলে মোস্তফা (৫৫) এবং বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার বদনিভাঙা গ্রামের (পিতা অজ্ঞাত) মিলন মিয়া (৩৫)। আহতরা হলেন ইন্দুরকানি উপজেলার বালিপাড়া গ্রামের নওয়াব আলী শেখের ছেলে নাসির শেখ (৩৪) এবং শরণখোলা উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়নের চালরায়েন্দা গ্রামের মৃত মুনসুর গাজীর ছেলে খোকন গাজী (৩০), জামাল ফরাজীর ছেলে রাসেল ফরাজী (২৮), বারেক হাওলাদারের ছেলে সাগর (৩০), মিন্টু মিয়ার ছেলে সোহেল (৩০), বাবুল (৫০) পিতা অজ্ঞাত ও সাউথখালী গ্রামের মকবুল মিয়ার ছেলে বাবুল (৪৫)। সাউথখালী ইউপি চেয়ারম্যান ইমরান উদ্দিন রাজিব জানান, হতাহত শ্রমিকরা সবাই তাফালবাড়ী বাজারের ইট-বালু ব্যবসায়ী নিরব হাওলাদারের গোলায় কাজ করেন। সকাল থেকে তারা বাজারসংলগ্ন বান্দাঘাটা খালে নোঙর করা কার্গো থেকে বালু তুলছিলেন। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বৃষ্টি শুরু হলে শ্রমিকরা সবাই পাশের একটি একচালা টিনের ছাপড়া ঘরে আশ্রয় নেয়। ওই ছাপড়া ঘরের ওপর পর পর দুইবার বজ্রপাত ঘটে। এসময় তাদের আর্তচিৎকালে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে তাদেরকে উদ্ধার করে শরণখোলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক দুই শ্রমিককে মৃত ঘোষনা করেন। উপজেলা স্বস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডা. সুদির্পা সাহা বলেন, বজ্রপাতে আহতদের হাসপাতালে আনার পরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দুজনকে মৃত পাওয়া যায়। আহত সাত জনকে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের চিকিৎসা চলছে। ডাক্তার সুদিপ্ত সাহা বলেন, আহতরা আশঙ্কামুক্ত। এছাড়া চুয়াডাঙ্গা সদর ও দামুড়হুদা উপজেলায় বজ্রপাতে দুই কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। দামুড়হুদায় আরও এক নারী বজ্রপাতে আহত হয়ে সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। শনিবার সকাল ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। মৃতরা হলেন- চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের ঝাজরী গ্রামের দক্ষিণপাড়ার আব্দুল মালেকের ছেলে রুবেল হোসেন (২৫) ও দামুড়হুদা সদর ইউনিয়নের পাটাচোরা গ্রামের মল্লিকপাড়া গ্রামের মৃত খেদের মল্লিকের ছেলে বৃদ্ধ আহম্মেদ আলী (৬০)। আহত টনু খাতুন (২৫) দামুড়হুদা উপজেলার গোবিন্দহুদা গ্রামের মিলনের স্ত্রী। দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হযরত আলী বলেন, ঘটনার পর আমি নিহতের বাড়িতে এসেছি। সকাল ৮টার দিকে মাঠ থেকে বাড়ি ফেরার পথে বজ্রপাতে আহম্মেদ আলী গুরুতর আহত হন। পরে পরিবারের সদস্যরা দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে (চিৎলা হাসপাতাল) নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ড. হেলেনা আক্তার নিপা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। অপরদিকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের ঝাজরী গ্রামে বজ্রপাতে রুবেল হোসেন নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়। বেগমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আলী হোসেন বলেন, সকাল ৯টার দিকে রুবেল হোসেন কৃষিকাজ শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। ঝাজরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠের কাছে পৌঁছালে বজ্রপাতে তিনি আহত হন। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় পরিবারের সদস্যরা রুবেল হোসেনকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান। দর্শনা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক (তদন্ত) শফিকুল ইসলাম বলেন, বজ্রপাতে রুবেল হোসেন নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে বলে জেনেছি। তার মাথায় এক অংশ পুড়ে গেছে।

ছবি অনলাইন

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর

ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: BD IT SEBA